আমি ও আমার সময়

Akhteruzzaman Elias

Artwork by Genevieve Leong

No! I am not prince Hamlet, nor was meant to be; ‘Am an attendant Lord . . .

আমি কিন্তু তাও নই। ডেনমার্কের দোদুলচিত্ত রাজকুমারের পারিষদ পদের জন্য দরখাস্ত করার মুরোদও আমার নেই।

১৯১৭ সালে টি. এস. এলিয়ট ঠিক বুঝতে পেরেছিলেন যে, রাজকুমার হ্যামলেট চিরকালের জন্যে নির্বাসিত হয়েছে। নিজের সময়কে এলিয়ট ঠিক সনাক্ত করে ফেলেন, তার একটা নামকরণও করেছিলেন, জে. আলফ্রেড প্রুফ্রক। নিজের বার্ধক্যের ভাবনায় সে নুয়ে পড়েছে, নিজের পরিণতির কথা ভেবে সে বড় ক্লান্ত। লোকটা দিব্যি দেখতে পারে, শাদা ফ্লানেলের ট্রাউজার নিচের দিকে একটু গুটিয়ে পরে সে হেঁটে চলেছে সমুদ্রসৈকত ধরে। তার চুল পেছনদিকে আঁচড়ানো। অগ্নিমান্দ্যের রোগী, প্রিয় ফলটি খেতে ভরসা হয় না। সে শুনেছে যে মৎস্যকুমারীরা পরস্পরকে লক্ষ্য করে গান করে, কিন্তু তার মনে হয় না যে তারা তার উদ্দেশ্যেও গান গাইতে পারে।

রেনেসাঁর জিজ্ঞাসা ও আকাঙ্ক্ষা এবং সংশয় ও সংকল্প নিয়ে আকাশ ফুঁড়ে দাঁড়িয়েছিলো যে 'ব্যক্তি' বিশ শতকে তার ভাঙাচোরা চেহারা দেখে বিলাতের বিদগ্ধ কবি বিষন্ন হয়েছিলেন। বিষন্ন হওয়া সব লোকের সাজে না, তা হতে হলেও একজনের খানিকটা ওজন দরকার, আমার মতো মানুষ বড়জোর মন খারাপ করতে পারে। কিন্তু আজ এই শতাব্দীর শেষে গরিব বাংলাদেশের তোতলা এক কলমচির সেভাবে মন খারাপ করার জো নেই, তার নিজের সময়ের সঙ্গে চার পাঁচজনকে সে পরিচয় করিয়ে দেবে কি করে কিছুতেই ঠাহর করতে পারে না।

আমার সময় মানে তো একেবারে অল্পস্বল্প ব্যাপার নয়। মানুষ যতদিন কাজ করে সবটাই তার সময়ের আওতার ভেতরেই পরে। জন্মের পর প্রথম কান্না থেকে শুরু করে শেষ নিশ্বাসটি ছাড়া পর্যন্ত সবই তার কাজের অন্তর্গত।চোখের মণি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শেষবারের মতো ছাদের সিলিং দেখে নেওয়া মুমূর্ষু মানুষের পক্ষে তাও কি কম শ্রমসাধ্য কাজ? যতদিন বাঁচি, সবটা আমার বলেই গণ্য করবো।

কিন্তু এতকাল ধরে বাঁচবার পরও বুঝতে পাচ্ছি না, এই সময়টাকে সনাক্ত করবো কি দিয়ে? এর কোন বৈশিষ্ট দিয়ে একে পরিচিত করি? আলো, অন্ধকার, সাদা, কালো, লাল, নীল, খাকি, সবুজ, উজ্জ্বল, ম্লান-এর নানান চেহারার মধ্যে আসল কোনটা? কোনটা ঠিক?

তাহলে শুরু করতে হয়ে শুরু থেকে। জন্ম হয়েছিল দুর্ভিক্যের সময়। ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরে বাঙলার লাখ লাখ লোক স্রেফ না খেতে পেয়ে সাফ হয়ে গেলো, সেই সুযোগে মায়ের পেট থেকে সুরুৎ করে বেরিয়ে তাদের একজনের জায়গা দখল করে বসি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের তখন চার বছর চলছে, যদি মহাপুরুষ হতাম তো জন্মের মুহূর্তে যুদ্ধ থেমে যেতো। না, সেরকম কোনো লক্ষণ ছিল না, যুদ্ধ অব্যাহত রইলো। বিদেশী শাসন থেকে মুক্তির জন্যে দেশবাসীর সংগ্রাম চলছিলো। আমার জন্মের ঠিক সাড়ে চার বছর পর স্বাধীনতা আবির্ভূত হলেন। সঙ্গে এলেন কে? —না, দাঙ্গা। যে বিপুল জনগোষ্ঠী স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে তারাই আবার দুটো সম্প্রদায়ে ভাগ হয়ে একে ওপরের ঘাড় মটকায়। —এই দুটো ব্যাপার কি এক হলো? আমার সময়কে আমি চিহ্নিত করবো কোনটা দিয়ে? স্বাধীনতা আসে, সঙ্গে গৃহহীন হয় কোটি কোটি মানুষ। কোনটাকে গুরুত্ব দেব? যে লোকটি নিজের বন্ধুর হাতে খুন হয় তার কাছে নিজের প্রাণের দাম কি স্বাধীনতার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল? স্বাধীনতা যে মানুষের মুক্তিকে সঙ্গে করে আনেনি তা বুঝতে বেশিদিন লাগলো না। মানুষের হতাশাকেই কি পরম সত্য বলে বিবেচনা করবো? — দেখতে দেখতে ভাষা আন্দোলন নতুন করে নাড়া দিলো। তখন ক্লাস ফাইভ এ পড়ি, কিন্তু মানুষের বিক্ষোভের মাত্রা দেখে বুঝতে পারি যে দেশের সমস্ত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। ধাক্কাটা গিয়ে লেগেছিলো নতুন রাষ্ট্রের ভিত্তিতে, সেখানে চিড় ধরে তখনি, দিন গেছে এই চির পরিণত হতে ফাটলে।

ভাষা আন্দোলনের বিজয় দেখতে না দেখতে নেতাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়, বড়ো নেতাদের ছোটলোকামি দেখে কে বলবে যে এদেরই সামনে রেখে দেশের মানুষ কি শক্ত দুর্গের পতন ঘটিয়েছিল। এদের মারামারি অছিলা করে আসে সামরিক শাসন। কৈশোর পার হচ্ছি তখন, সদ্য কলেজে ঢুকেছি, ঐ যে সেনাবাহিনীর থাবার নিচে পড়লাম, সারাটা যৌবনকাল চলে গেলো তারই সাঁড়াশির ভেতর, আজও তার থেকে রেহাই মিললো না। মার্শাল ল-র জগদ্দল পাথরে চাপা পরে যে কিশোর পরিণত হলো যুবকে, যৌবনকাল পার করে দিয়ে আজ যে পক্ককেশী প্রৌঢ়, তার বৃদ্ধি কি আর পাঁচটা দেশের মানুষের মতো হতে পারে? তার ক্ষোভ তার গ্লানি, তার ব্যর্থতা, তার অসহায়ত্ব, তার অসন্তোষ—এ সবই কি আমার সময়ের প্রধান পরিচয়?

কিন্তু এই পাথরচাপা জনগোষ্ঠী স্রেফ বাঁচার তাগিদেই মাথা ঝাঁকায়। ১৯৬ ২ সালের প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে ওঠে, তখন আমরা ঘোরতর যুবক। একেকটা দিন যায় আর ঐ প্রতিরোধ ফুলে ওঠে, ফেঁপে ওঠে। ফুলে-ফেঁপে উঠতে উঠতে এটা ঝাঁপিয়ে পরে কোথায়? ১৯৬৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্যানভাস করার কাজে। সামরিক শাসন মানুষকে যে কতটা অসহায় করে তোলে তার প্রমান এই যে, আইয়ুব খানকে হটানো ছাড়া মানুষের এই বিক্ষোভ আর কোনো লক্ষ্য স্থীর করতে পারে না। আইয়ুব খান কিন্তু টিকে থাকে। বন্দুকের জোর ছিলো, আর নির্বাচনের কল্যাণে গ্রামে-গ্রামে তার ভৃত্যগোষ্ঠী গড়ে ওঠে, এরা নতুন এলিট, এদের নাম বেসিক ডেমোক্র্যাট। আইয়ুব খানের রাষ্ট্র প্রসারিত হয় নিভৃত গ্রামে, চুরি-জোচ্চুরি ছড়িয়ে পরে দেশের আনাচে-কানাচে। রাষ্ট্রীয় শোষণ ও নির্যাতনই যদি সেই সময়ের প্রধান বৈশিষ্ট বলে ঘোষণা করি তবে ১৯৬৯ সালের বিদ্রোহকে ঠাঁই দিয়ে কোথায়? আমার জীবনে, এই প্রথম একটি আন্দোলন দেখেছি যেখানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এমনভাবে এগিয়ে এসেছিলো যাতে রাষ্ট্র নয়, সামাজিক শোষণ পদ্ধতিটিই আক্রান্ত হয়েছিল। সেখানে শোষক বলে চিহ্নিত হয় তারাই যারা যুগ যুগ ধরে শোষণের কর্মটি করে এসেছে। সে বাঙালি না পাঞ্জাবি, বিহারি না হিন্দু এ নিয়ে কারো মাথাব্যাথা ছিল না।এই আন্দোলনই কি আমার সময়কে পরিচিত করিয়ে দেবে? তাহলে কি তাদের কথা বলবো না যারা এই বিশাল বিক্ষোভকে কেটেছেঁটে ব্যবহার করলো মধ্যবিত্তের জাতিয়তাবোধ চাগিয়ে তোলার কর্মে? ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করে, রক্ত দিয়ে কার্ফু ধুয়ে মানুষ যাদের ছিনিয়ে আনে; বেরিয়ে এসে তারা তৎপর হয় আন্দোলনকে নেতিয়ে দেওয়ার কাজে— এটাও তো ঘটেছে আমার সময়েই। আমার সময় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ দিয়ে আঁকা। সাড়ে চার বছর বয়স থেকে 'চাঁদ তারা শাদা আর সবুজ নিশান' বলে গলা হাঁকড়িয়ে হাঁকড়িয়ে মরেছি, সেই নিশানের ফাঁস দিয়ে মারা হলো অসংখ্য মানুষকে।

ফের স্বাধীনতা আসে। এবার স্বাধীনতা নম্বর ২.

সঙ্গে আসে কে? মুক্তি?—না, সঙ্গে আসে নতুন লাঠি কোমর বেঁধেছে। নতুন পতাকার দণ্ড হাতে নিয়ে নতুন শাসক সেই ডান্ডা চালায় দেশের মার-খাওয়া-মানুষের ওপর। কখনো মাথায় বাড়ি, কখনো পেটে লাথি। আবার দুর্ভিক্ষ। এবার জন্ম হলো আমার ছেলের। ছেলে জন্ম দেখে হাজার হাজার মানুষ মরে যাচ্ছে স্রেফ না খেতে পেয়ে। পাশাপাশি রাজার মেয়ের বিয়ে, মাথায় তার সোনার মুকুট। কোনটা ঠিক—স্বাধীনতা, না দুর্ভিক্ষ ও রাজরাজড়ার বিয়ে সোনার মুকুট দিয়ে?

আবার এক রাতে রাতারাতি ডান্ডার হাত বদল ঘটে। ডান্ডা, তুমি কার? না, যে আমাকে কবজা করতে পারে তার। এবার ডান্ডা দখল করেছে পেশাদার ঠ্যাঙাড়েরা। এদের মনিব থাকে বাইরে, সমুদ্রের ওপর পাহাড়ের ওপার। মনিবের লেলিয়ে দেয়া ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ঝাঁপিয়ে পরে দেশবাসীর ওপর। দেশবাসী, যারা নিরন্ন, যাদের পরনে জামা নেই, হাতে হাতিয়ার নেই। মেশিনগান, স্টেনগান, ট্যাঙ্ক চালিয়ে ঠ্যাঙাড়েরা দফায় দফায় আসে। ঘেউ ঘেউ করে হুঙ্কার ছাড়ে, কিছুদিন খুব তোড়ে মানুষ মেরে হয়রান হয়ে পড়লে রিমোট কন্ট্রোল থেকে মালিকহুজুর তু তু করে হুকুম ছাড়ে, এবার গণতন্ত্র ছাড়ো। ঠ্যাঙ্গারেরা তখন ট্যাঙ্কার উপর বসে গণতন্ত্র বিলি করে। তাতে কাজ একটা হয় বইকি। কতো বড়ো বড়ো নেতাদের কতো রং যে তখন দেখা যায়।

আমার প্রথম যৌবনে সমাজকাঠামো বদলে দেয়ার জন্যে যাদের হাঁকডাক শুনে মহামানব বলে গণ্য করেছি, আজ মালপানি আর ডান্ডার ভাগ নেওয়ার লোভে তারাই আবার নিজেদের মুন্ডু থেকে ল্যাজ বিক্রি করে দিলো ঠ্যাঙাড়েদের কাছে। তাদের যে জিভ আগুনের শিখা হয়ে ধকধক করে জ্বলতো আজ তাই আবার লোমচাঁছা ল্যাজ হয়ে নড়াচড়া করে মালিক-হুজুরের স্তুতিতে। এদের সম্বন্ধে কি বলবো? এও তো সত্যি যে, তাদের কেউ কেউ সত্যি একদিন মানুষের মুক্তির জন্যে সংগ্রাম করতে সংগল্পবদ্ধ হয়েছিলেন। আজ তারা লুটেরা লুম্পেন। আমার সময় তাদের কোন বৈশিষ্টকে তুলে ধরবে?

কোনটা সত্যি? মধ্যযুগীয় নরখাদকের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যে মরণপণ যুদ্ধে মেতেছিলো সমগ্রে দেশবাসী—সেটা, নাকি নিজেদের মা বোন বৌকে ভোগ করার জন্যে নরখাদকের হাতে তুলে দিয়েছিলো যেসব ধর্মান্ধ জানোয়ার তাদের দেশ দখলের সদর্প আয়োজন? কোনটা?

যে সময় আমার কাছে কোনো নিশ্চিত বৈশিষ্টে ধরা দেয় না, আমিই বা সেখানে বিশিষ্ট হবো কোনো শক্তিতে? আমার সময়ের দেওয়ালের ভেতর আমি শুধু হাসফাঁস করি। এভাবে বাঁচা মুশকিল। তাই কোনো বড়ো কিছু করার জন্যে নয়, এমনি বাঁচার তাগিদে, নিশ্বাস নেওয়ার জন্যে, পায়ের পাতায় ভর দিয়ে দেওয়ালের ওপারটা দেখার চেষ্টা করি। ওপারে কি?— আমার জন্মমৃত্যুর বাইরে, বিশাল ও অনন্ত সময়। যতদূর দেখা যায়, আমার এই +২ ও -৩ পাওয়ারের বাইফোকাল চশমা-চাপা চোখে যতটা দেখতে পারি দেখে নিই। দেখতে দেখতে বুক কাঁপে।আরে, সেখানেও আমি। অতীতের যতটা চোখ পরে ততটা জায়গা জুড়ে আমার বসবাস। দেখতে দেখতে দিব্যি চলে যাই সেই আদীম সময়, বোধহয় তারও ওপারে, যেখানে বিশাল জলরাশির ভেতর প্রাণের একটি বিন্দু হয়ে বুদ্বুদ্ হয়ে ভাসছি। তারপর দেখি এত কতজনের সঙ্গে আমি, হ্যাঁ ভীতু ও মন-খারাপ-করা আমি ডাঙায় ওঠার জন্যে তীরের মাটি ধরার চেষ্টায় একনিষ্ঠভাবে মগ্ন। শেষ পর্যন্ত  ডাঙায় উঠেও পড়েছি। তারপর কতো সব জানোয়ারের মার খেয়ে, কতো জানোয়ারকে মেরে, বৃষ্টিতে ধুয়ে, রোদে পুড়ে এতটা পথ পেরিয়ে আটকে পড়েছি এখানে এসে । এখানে আমির উপর পাথরের মতো চেপে বসতে চাইছে অতিকায় কোনো জীব। আমার সমান বয়েসী এক কবি জ্বরের মধ্যে বিড়বিড় করে,

সারারাত ভরে এই হাতটি (মূলত ইঁদুর)
আমার বুকে দুটি ভারী পা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে
অনড়, নিশ্চল—

তার কথা শুনে বুঝতে পারি আমি একা নয়। ওদিকে জানোয়ারটির দাপট ক্রমেই বাড়ে। আমার সময়ের দেওয়ালের ওপার দেখার কোনো সুযোগই সে আমাকে দেবেনা। প্রথমে তার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমি গা ঝাড়া দিই। তাকে শুওরের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা বলে খিস্তি ঝাড়ি। শুওরের বাচ্চা তবু যাবে না। এদিকে আমার তো মরণ দশা। তাই সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে রুখে দাঁড়াতে চাই। আমার জোড়া হাত তাকে ঠেলে ফেলার উদ্যোগ নিলে বুঝতে পারি অত বড়ো আকারের জানোয়ার সেটা নয়। না, সেটা হাতি নয়। রফিক আজাদের মতো আমিও ওটাকে হাতি বলে ভুল করেছিলাম। এমনকি শুওর বা শুওরের বাচ্চাও নয়। ইঁদুরের পয়দা হয়ে ইতর জীবটি কি না 'দাঁতে কেটে কুটে দর্পভরা হাঁটাচলা করে'।

ইঁদুরটার বাড়াবাড়ি সমস্ত সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেছে। তাই তাকে একেবারে শেষ করে ফেলার তাগিদ ক্রমে জোরালো হচ্ছে। তাকে শেষ করতে পারি কি নাই পারি মরিয়া হয়ে আমাকে একবার লাগতে তো হবেই। হয়তো কে জানে, ভবিষ্যতের সময় আমার এই টুটাফাটা, পঙ্গু, ও রুগ্ন সময়কে সেই ইতর জীবতার সঙ্গে লড়াই করার সময় বলে সনাক্ত করবে। সেই ভরসাতেই বাঁচি। তোতলা কলম নিয়ে তাই একটু আধটু লিখতে চেষ্টা করি!